চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলায় ডাবল মার্ডারের ঘটনায় দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে এগুচ্ছে পুলিশের তদন্ত। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী কর্তৃক হত্যা কিংবা বহিরাগত কেউ অজ্ঞাত কারণে এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটাতে পারে- এমনটিই ধারণা করছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের উপ সহকারী কমিশনার কামরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, নিহত আবু তাহেরের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো কিছু তথ্য পেতে পারি। এছাড়া বহিরাগত দ্বারা খুন সংঘটিত হয়েছে কি না- সেটিও আমরা তদন্তের মধ্যে রেখেছি। খুনিকে বের করার লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, বাবা- মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আবু তাহেরের বড় ভাই নুরুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে।
মামলার বাদি নুরুল আলম বলেন, স্ত্রী হাসিনা বেগম কৌশলে আমার ভাই আবু তাহের ও ভাতিজি ফাতেমাকে গলাকেটে খুন করেছেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মো. ফৌজুল আজিম বলেন, মো. আরিফ পেশায় দিনমজুর। পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিমতলা এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্ত্রী বাসাবাড়িতে কাজ করতেন।
তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় সংসার ছিল ।
লাশের সুরতহাল রির্পোটে গলা কেটে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে এমন ধারণা করছে পুলিশ। ফলে স্ত্রী কর্তৃক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার পর সিআইডির ফরেনসিক টিম, পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় শাহ আলম ভবনের নিচতলায় মো. আরিফ (৩৫) ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বিবি ফাতেমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এইচটি/ সিআর