নিজ ঘরে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ, সুইসাইড নোট উদ্ধার

বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের রামদাস মুন্সির হাট থেকে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ জুন) সকাল ৯টায় বাবু কুমার শীল (২৫) নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উত্তর পাড়া গ্রামের রনজিত শীলের পুত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাবু কুমার শীল প্রাণ কোম্পানির সাব ডিলার হিসেবে বিভিন্ন পণ্য বাঁশখালীর হাটবাজারে সরবরাহ করতেন। রামদাস মুন্সির হাটে গরুর বাজারের সম্মুখে আলী আহম্মদের মার্কেটে দুইটি কক্ষের একটিতে গোডাউন হিসেবে মালামাল রেখে ব্যবসা করতেন, অন্যটিতে তিনি থাকতেন।

ওখানে তার সাথে মিঠুন সেন গুপ্ত নামের এক ব্যক্তিও ভাড়ায় থাকতেন। মিঠুন অন্য একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। মঙ্গলবার রাতে মিঠুন ওইখানে ছিলেন না। চট্টগ্রাম শহর থেকে সকাল ৯টায় ওইখানে এসে কক্ষের রুম খুলে বাবুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি।

পরে হাটের ব্যবসায়ী ও রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ওইখানে পুলিশ হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। ওই চিরকুটে পারিবারিকভাবে আর্থিক সংকট ও ঝগড়াঝাটির কথা উল্লেখ রয়েছে। তার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয় বলেও লিখে গেছেন।

তবে লেখাটি বাবুর হাতের কিনা তা পুলিশ তদন্ত করছেন। ঘটনাস্থলে নিহত বাবুর বাবা রনজিত শীল ও তার চাচাত ভাই নিউটন শীল চকরিয়া থেকে এসে লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বাবু কুমার শীলের বাবা রনজিত কুমার শীল বলেন, ‘আমার ছেলে কিভাবে মরেছে তা জানি না। মৃত্যুর খবর পেয়ে চকরিয়া থেকে ছুটে এসে দেখি পুলিশের কাছে লাশ। লোকজন বলছে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমার ছেলে কেন আত্মহত্যা করবে?

রামদাস পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বাবু কুমার শীলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে সুরতহাল রির্পোট সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!