নাসিমন ভবনে সংঘর্ষে জামায়াতের দুই ক্যাডার!

ফটিকছড়ির দুই বিএনপি নেতার সমর্থকদের গ্রুপিং

চট্টগ্রামে উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের সামনে এই সংঘর্ষ হয়। এতে মোট ২০ জনের মত আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। এই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ‘জামায়াতের দুই ক্যাডারকে’ দায়ী করছেন তারা।

তবে অন্য সূত্রে জানা গেছে, মূলত ফটিকছড়ি বিএনপির দুই নেতা সরোয়ার আলমগীর ও আজিম উল্লাহ বাহারের সমর্থকদের মধ্যে স্থানীয় গ্রুপিংয়ের জেরে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর এই সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। সেসময় সেখানে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা চলছিল। মূলত সভার ভেতরে বসার জায়গা নিয়ে এই সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার।

ঘটনার বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সরোয়ার আলমগীর বলেন, জামায়াতের ক্যাডার শওকত উল্লাহ ও আজিম উল্লাহ বাহার চেয়ার মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের ২০ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয়। তার মধ্যে ১৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে ও ৪ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রতিনিধিসভা ছিল। এতে তৃণমূলের লোকজনকেই দাওয়াত দেওয়া হয়। কিন্তু আজিম উল্লাহ বাহারের নেতৃত্বে জামায়াত ক্যাডার শওকত উল্লাহ ও এরশাদ উল্লাহ মিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে শওকত উল্লাহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি।

উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, পার্টি অফিসে উত্তেজনা মূলক কথা-বার্তা হচ্ছিল। কে কোথায় বসবে, দাঁড়াবে তা নিয়ে মূলত ঝামেলা। তবে কোনো ধরনের হাতাহাতি হয়নি বলে দাবি বিএনপির এ নেতার।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। আমরা কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

জানা গেছে, আজিম উল্লাহ বাহার গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সরোয়ার আলমগীরের সাথে বিরোধ রয়েছে তার।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!