নাশকতার মামলায় বিএনপির খসরু-শাহদাতসহ ৪৫৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চট্টগ্রামের বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ৫ জানুয়ারি সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নগরীর কাজির দেউড়িতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল কোতোয়ালী থানায়।

এরমধ্যে পৃথক ধারায় দায়ের করা তিন মামলার মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের এ মামলায় রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীমের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলার সহ সভাপতি মো. এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। অন্যরা বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মনোরঞ্জন দাশ জানান, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযুক্তরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছেন। তারা গুলিও চালিয়েছেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তদের অভিযোগ পড়ে শোনান। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেও রাষ্ট্রপক্ষের তীব্র বিরোধীতার মুখে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ আসামির বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তবে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এখনো নির্ধারিত হয়নি।

অভিযোগ গঠনের সময় আসালাম চৌধুরীসহ তিনজন কারাগারে থাকলেও ৪৫৩ আসামির মধ্যে অন্যরা জামিনে রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল ২০ দলীয় জোট। ওই দিন সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় একটি মামলা করে নগরের কোতোয়ালী থানায়।

পরে তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্রগুলো গ্রহণ করেন। কয়েক দফা শুনানি পেছানোর পর আদালত রবিবার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। বাকি দুটি মামলায় শুনানির তারিখ পড়েনি।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!