নাশকতার পরিকল্পনা, শিবিরের ৩ নেতাসহ কারাগারে ১৮

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রামে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে ইসলামী ছাত্র শিবিরের তিন নেতাসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বাকলিয়া থানার শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চলে। অভিযানে ২২ জনকে আটক করলেও তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১৮জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সস্প্রতি ভোলা জেলার ‘বোরহান উদ্দিন’ থানার গুজবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কিছু নেতা-কর্মী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার উদ্দশ্যে বাকলিয়া থানার বগারবিল ২৫ কামরা জসিম হুজুরের বিল্ডিংয়ের উপরে একত্রিত হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককালে প্রচুর জিহাদি বই, লাঠি, ককটেল, কাচেঁর বোতল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ওই ভবনের নিচ থেকে লাঠিসোটা ও চারটি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

ওসি নেজাম বলেন, ভোলার ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রামেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য বাকলিয়া শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় শিবিরকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন সোমবার রাত থেকে। ভোরে নামায শেষে তারা মিছিল করে ভাঙচুর, নাশকতাসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। অভিযানে গেলে জিএস নামে একটি ভবনের নিচে জড়ো হওয়া লোকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।

আটকৃতদের মধ্যে কোতোয়ালী থানার ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মো. আশরাফুল (২৪), মহাসীন কলেজের ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মিজবাহ উদ্দীন হাবিব (২৪),দারুল উলুম মাদ্রাসা চন্দনপুরার ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রাকিবুল হাসান (২১), দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মো. সাইমন (২৩) রয়েছেন। অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওমর ফারুক (৪৭), আব্দুল করিম (১৮), আবু ওবাইদা (১৯), আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (১৮),মো. শরীফুল (২১), আমির হোসেন (১৮), সাজ্জাদুল ইসলাম সবুজ (২০), মিজানুর রহমান (১৮),মো. ফরহাদ(১৮), মো. সাকিল(১৮), আব্দুল মোমেন (১৯), মো. সাহেদ (৪৯), কামরুল ইসলাম (৪০), নুরুল হুদা (২২)।

তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

এসআর/এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!