নারী আইপিএলের ফাইনালে জাহানারার ভেলোসিটি

বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম কোন নারী ক্রিকেটার হিসেবে জাহানারা আলম দেশের বাইরের কোন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পান। ভারতে অনুষ্ঠিত উইমেন্স টি- টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ নামে নারী আইপিলে ভেলোসিটির হয়ে খেলা জাহানারার দলটিই ফাইনালে উঠেছে। শনিবার সুপারনোভার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে তার দল সুপারনোভার কাছে ১২ রানে হেরে গেলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা ট্রেইলব্লেজার্সকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভেলোসিটিই। সুপারনোভার করার ১৪২ রানের জবাবে ভেলোসিটির ইনিংস থেমে যায় ১৩০ রান।

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ট্রেইলব্লেজার্সের বিপক্ষে ১২ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে জিতেছিল ভেলোসিটি। তবে সে ম্যাচে ছিলেন না বাংলাদেশি পেসার জাহানারা। সুপারনোভার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাকে।

ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জাহানারার ভেলোসিটি। শিখা পান্ডের সঙ্গে নতুন বল ভাগাভাগি করার সুযোগ পান জাহানারা। তবে প্রথম স্পেলটা খুব একটা ভালো যায়নি তার। দুই ওভারে খরচ করে ফেলেন ১৮ রান।

অপরপ্রান্তে শিখা পান্ডে এবং অ্যামেলিয়া কারব্যতীত আর কেউই তেমন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেননি। নিজের পরের দুই ওভারে আরও ১৬ রান খরচ করেন জাহানারা। সবমিলিয়ে ৪ ওভারের স্পেলে ৩৪ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।

সুপারনোভার পক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ১৮ বছর বয়সী তরুণী জেমিমা রদ্রিগেজ। তিন নম্বরে নেমে রীতিমতো একাই এগিয়ে নেন দলকে। অপরাজিত ইনিংসে মাত্র ৪৮ বলে করেন ৭৭ রান। ১০টি চারের সঙ্গে ১টি ছয়ের মারে সাজান নিজের ইনিংস।

এছাড়া প্রিয়া পুনিয়া ১৬ বলে ১৬, আতাপাত্তু জয়ঙ্গন ৩৮ বলে ৩১ এবং সোফি ডিভাইন ১৪ বলে ৯ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে সুপারনোভা। ভেলোসিটির পক্ষে অ্যামেলিয়া ২ এবং শিখা নেন ১ উইকেট।

সুপারনোভাকে ১৪২ রানে আটকে ফেলার পর ফাইনালের টিকিট পেতে ভেলোসিটির প্রয়োজন ছিলো কেবল ১১৭ রান। মাত্র ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলায় খানিক চাপে পড়ে যায় তারা।

তবু তিন নম্বরে নেমে ড্যানিয়েল ওয়েট যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ জয়ের পথেই ছুটছিল ভেলোসিটি। কিন্তু দলীয় ৭৭ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওয়েট। পরে আর ঝুঁকি নেননি ভেলোসিটির অধিনায়ক মিথালি রাজ।

তিনি দেখেশুনে খেলে ভেদা কৃষ্ণামুর্থির সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। নিশ্চিত করেন ফাইনালে তার দলের উপস্থিতি। মিথালি ৪২ বলে ৪০ এবং কৃষ্ণামুর্থি ২৯ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!