নারীর ফাঁদে ফেলে অপহরণ, চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের দিয়ে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন লোক থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো একটি চক্র। প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে নারী দিয়ে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দেওয়া হতো। ওই ব্যক্তি রাজি হলেই নিয়ে যাওয়া হতো নির্জন জায়গায়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা চক্রের বাকি সদস্যরা তাকে জিম্মি করে আদায় করে নিতো টাকা। এই চক্রের তিন সদস্য এবার ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ২টায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. সজিব (২২), সাকিব (২১) ও সুমন (২০)।

থানা সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের ব্যবহার করে অপহরণ করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির মহিলা সদস্যরা প্রথমে একজনকে টার্গেট করতেন। এরপর ওই ব্যক্তিকে নানা কৌশলে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিতেন। রাজি হলে সিএনজি অটোরিকশা করে নিয়ে যাওয়া হতো কোনো নির্জন জায়গায়। তবে যাওয়ার সময় পথে চক্রের বাকি সদস্যরা সিএনজিতে উঠে যেতেন। পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে মুক্তিপণের জন্য মারধরও করা হতো ভুক্তভোগীকে।

মুক্তিপণের জন্য মোটা অংকের টাকা আদায় হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ভুক্তভোগীরা আইনগত প্রতিকার চাইতেন না।

২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর মো. মহসিন নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে এক লাখ টাকা দাবি করে এই চক্র। পরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। একই কায়দায় খোকা মারমা নামের আরেক ব্যক্তিকে মুরাদপুর থেকে অপহরণ করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।

অপহরণের শিকার মো. মহসিন ও খোকা মারমা মামলা করলে ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভার্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন মজুমদার বলেন, ‘নারীদের ব্যবহার করে টার্গেট করা ব্যক্তিদের অপহরণ করতো এই চক্র। পরে মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দিতো। এই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!