করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সারাদেশ কার্যত লকডাউন থাকলেও তা উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ থেকে নারী-শিশুসহ ২১ পরিবারের ৯৪ জন শ্রমিক রাঙামাটির লংগদুতে ঢুকেছে। তবে সবাইকে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ মে) লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ নুর জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে দুটি ট্রাকযোগে ২১ পরিবারের ৯৪ জন শ্রমিক খাগড়াছড়ি হয়ে লংগদু উপজেলার বাইট্টাপাড়ায় আসেন। তারা নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। বর্তমানে সেখানে কাজ না থাকায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের এলাকা লংগদুতে চলে এসেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে মাইনীমুখ ইউনিয়নের ৩৪ জন, গুলশাখালী ইউনিয়নের ৪৩ জন ও কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের ১৭ জন।
তবে লংগদুতে আসা শ্রমিকদের প্রাথমিকভাবে জ্বর ও শারীরিক পরীক্ষা করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে দুটি গাড়ি করে লোকজন লংগদুতে আসায় এলাকাবাসীর মাঝে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আর যাতে কোন লোক লংগদুতে ঢুকতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের নজরধারি বাড়ানোর দানি জানিয়েছেন তারা।
মাইনীমুখ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের ৩৪ জনকে মাইনীমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হবে।
গুলশাখালী উইপি চেয়ারম্যান আবু নাছির বলেন, গুলশাখালী ইউনিয়নের ৪৩ জনকে মোহাম্মদপুর, রাজনগর ও কাকপাড়া এলাকায় রাখা হবে।
কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া বলেন, কালাপাকুজ্জার ১৭ জনকে গোলটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
লংগদুতে আসা শ্রমিকরা জানান, বর্তমান করোনা সংকটের কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ। সেখানে আমাদের কেউ সাহায্য সহযোগিতাও করে না। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। কোন উপায় না দেখে নিজ এলাকায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছি।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনুল আবেদিন বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে সকল সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এএইচ