নাইক্ষ্যংছড়ির মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসাটি সমস্যায় জর্জরিত

নাইক্ষ্যংছড়ির মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসাটি সমস্যায় জর্জরিত 1মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসাটিতে শিক্ষক স্বল্পতা,জরাজীর্ণ, ভবন, সুপার ও সহ-সুপার তাদের নিজ নিজ অপকর্মে বহিষ্কৃত হওয়া সহ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত। এ ছাড়াও আদালতে মামলা মকদ্দমা নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ৩শ’এর অধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার পথে। তাই পক্ষে বিপক্ষের রশি টানাটানিতে বিঘ্ন ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান। অপরদিকে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। এসব বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে অভিভাবক ছাইফুল আজম,মোঃ আয়াছ সহ স্থানীয় অনেকে জানান প্রতিষ্টাকালীন থেকে মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন বহিষ্কৃত সুপার মৌলানা নুরুজ্জামান। তিনি নবি করিম (সঃ) কে নিয়ে বির্তকিত কথা বলার মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টে¤॥^র কৌশলে বহিষ্কার করে তৎকালীন পরিচালনা কমিটি। এর পর বহিষ্কার বিষয়টি নিয়ে করা মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হলে বিজ্ঞ বিচারক মৌলানা নুুজ্জামানের পক্ষে রায় দেয়। অপরদিকে সহ-সুপার মৌলানা আবু বক্কর ছিদ্দীকের বিরুদ্ধে তার নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গত ২০১৫ সালর ১৬ আগষ্ট আপন মেয়ে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে তাকেও বহিষ্কার করে পরিচালনা কমিটি। এর পরে মেয়ে বাবার সম্মানের দিকে চিন্তা করে মামলা চালাতে অপরগতা প্রকাশে উক্ত মামলাটি পিতার পক্ষে রায় আসে। বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ সিরাজ ও সদস্য মওলানা সমশুল আলম এলাকার ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা ও শিক্ষক স্বল্পতার দিকে চিন্তা করে সহ-সুপার আবু বক্করের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নিলে ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এই নিয়ে মাদ্রাসার আশ পাশের এলাকায় চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগটি যদিও আদালতে তার পক্ষে রায় আসে কিন্তু এলাকাবাসী ঐ বিষয়টি এখনও মেনে নিতে পারছে না। তাই মাদ্রাসার অফিস কক্ষের দেওয়ালে শোভা পেয়েছে নাস্তিক ও জন্মগত বদমায়েস আবু বক্কর ছিদ্দিক সহ-সুপারের অপসারণ চাই অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমানে আবু বক্কর ছিদ্দিক মাদ্রাসায় ক্লাস না করে একটি পক্ষের সহযোগীতায় নিয়মিত হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে বেতন ভাতা উত্তোলন করছে। অপরদিকে প্রভাবশালী একটি পক্ষের ইশারায় বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেনা সুপার মৌলানা নুরুজ্জামানের। তাই কর্মরত শিক্ষকদের মাঝেও পক্ষ-বিপক্ষের জন্ম নেয়। বর্তমানে উভয় পক্ষের রশি টানাটানিতে একদিকে মাদ্রাসাটির পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে, অপর দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল। প্রতারক, দূর্নীতিবাজ ও ধর্ষণকারী আখ্যা দিয়ে সহ- সুপার আবু বক্করের বিষয়ে দেড় শতাধিক ছাত্র অভিভাবক তাকে বরখাস্ত করতে জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি পার্বত্য উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রনালয় ঢাকা, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ঢাকা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেন। অন্যথায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মাদ্রাসা অচল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার মৌলানা জাফর আহাম্মদ ও কমিটির সদস্য সমশুল আলম জানান ১৯৭৪ সালে মাদ্রাসাটি যাত্রা শুরু করেন। এর পর থেকে সুনামের সহিত পড়ালেখা চলে আসলেও সম্প্রতি কিছু কুচক্রকারী মহলের কারণে প্রতিষ্ঠানটির পড়ালেখার বিপর্যয় ঘটে বর্তমানে বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত। তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক স্বল্পতা। কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা,বি এসসি গনিত ও সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ শুণ্য। এর মধ্যে সুপার ও সহ-সুপার না থাকায় প্রতিষ্টানের ৩শ’ এর অধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে ব্যাহত ও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার পথে ধাবিত হচ্ছে। কমিটির আর এক সদস্য নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক তিনি বলেন শিক্ষক সল্পতা তো আছে এর পরও কর্মরত শিক্ষকদের মাঝেও রয়েছে অদক্ষ শিক্ষক। যার কারণ হচ্ছে লুঙ্গি পরে ক্লাসে পাঠদান দেয় তাদের কাছ থেকে জাতি কি শিখার আশা করা যায়। যদি ও সরকারি নিয়ম অনুসারে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লুঙ্গি পরে আসার উপর বিধিনিশেধ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী থেকে জনতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন বহুমুখী এসব সংকট থেকে উত্তরণ হতে হলে কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমঝোতার বিকল্প নেই বলে জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!