চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা এবং শনাক্ত বানরের তৈলাক্ত বাঁশে উঠার মতো একদিন লাফিয়ে বাড়ে আরেকদিন একেবারে তলানিতে চলে আসে। আগেরদিন করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল মাত্র ৪৭৫টি এবং তাতে শনাক্ত ছিল ৬৬ জন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা বেড়ে ৮৯৯ হতেই শনাক্ত বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ১১৮ জনে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৭৫। এর মধ্যে নগরে ১১ হাজার ৪৬ জন এবং উপজেলায় চার হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৪৩৩ জন এবং করোনার কাছে হার মেনেছেন ২৪৭ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১৭১ ও উপজেলার রয়েছে ৭৬ জন।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি দুটি এবং কক্সবাজরের একটি ল্যাব মিলে ৮৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৮৮ জন এবং উপজেলার ৩০ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ৫২ জন সুস্থ হয়েছেন এবং নতুনভাবে কেউ মারা যাননি।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ২৩ জন। এর মধ্যে ২২ জন নগরের বাসিন্দা ও ১ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৪ জন করোনা রোগী পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ১৯ জন, বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৭ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ৩ জন নগরের এবং ১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের ২২ জনই নগরের এবং বাকি ২ জন উপজেলার।
চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্যে ১৮ জন নগরের এবং ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৩০ জনের মধ্যে আবারও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে হাটহাজারী উপজেলা। সেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ জন করে। পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়িতে শনাক্ত হয় ৬ জন। এছাড়া আনোয়ারা ও রাউজানে ৩ জন করে, পটিয়া, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক