নববধূকে চট্টগ্রামে এনে ধর্ষণ করেন পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নেতা

স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া নববধূকে অপহরণ করে পিরোজপুর থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। চট্টগ্রামে ওই নববধূ দীর্ঘ সময় ধরে ধর্ষণের শিকার হন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই নববধূকে শেষপর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর থেকে আসা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নববধূকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় পত্তাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান জমাদ্দার শান্তি (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের এক ভ্যানচালকের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের গত জানুয়ারি মাসে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে হয়। অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান শান্তি আত্মীয়তার সুবাদে প্রায়ই নববধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।

গত ১৯ এপ্রিল স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে জিল্লুর রহমান শান্তি কিছু লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধূর স্বামী তাৎক্ষণিক তার শ্বশুরবাড়িতে এসে বিষয়টি জানান। তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

গৃহবধূর বাবা জিল্লুর রহমান শান্তি জমাদ্দারের কাছে মেয়েকে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তাকে বিদায় করে দেন এবং থানায় অভিযোগ না দিতে গৃহবধূর বাবাকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হুমকি দেন। এলাকায় একাধিকবার মীমাংসা করার জন্য ব্যবস্থা হলেও কোনো ফয়সালা না হলে মেয়ের বাবা ১৩ আগস্ট ইন্দুরকানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তারই সূত্র ধরে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ মঙ্গলবার গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেন।

মেয়ের বাবা জানান, আমার মেয়েকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলায় জিল্লুর রহমান শান্তির বোনের বাড়িতে নিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে রাখেন। তার মেয়ে জিল্লুর রহমান শান্তির হাতে ধর্ষণের শিকার হয় এবং মেয়েকে আটক রেখে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতন চালায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!