বিজয়ফুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সহায়ক হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে আরো জরুরিভাবে জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে। যারা এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে তারা বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা হয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে। এটি নতুন প্রজন্মের ভেতর লুকিয়ে থাকা প্রতিভা বিকশিত হওয়ার অনন্য সুযোগ। শিক্ষার্থীদের জানার কৌতুহল থাকতে হবে। জানার জগত সমৃদ্ধ হলে সে কখনো থেমে থাকে না।’
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও মহানগরের ১১ থানার শিক্ষার্থীরা বিজয়ফুল তৈরি, গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন, একক অভিনয়, চলচিত্র নির্মাণ, দলগত দেশাত্মবোধক ও জাতীয় সংগীতসহ মোট ৯ ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২৮ অক্টোবর, উপজেলা/মহানগর পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ৯ নভেম্বর বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় তিন স্তরে (ক) শিশু থেকে পঞ্চম (খ) ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম (গ)নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার পর বিজয়ী ৭৫ জন বিজয়ফুল বিজয়ীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ক গ্রুপে (বিজয় ফল তৈরি) প্রথম হয়েছে হালিশহর হাউজিং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শাপলা আকতার, খ গ্রুপে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এণ্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন। গ গ্রুপে বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মো. আবদুর রহমান খাঁন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা,অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিএম/এসএস