নতুন দুই কলেজসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সাত প্রতিষ্ঠান পেল বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বৃত্তর চট্টগ্রামের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চমাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠদানের অনুমতির ব্যাপারে অবহিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি হচ্ছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়। অপরটি হল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কক্সবাজারের বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠ, বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মেদিনীপুর নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

অন্যদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পেয়ে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি।

কলেজ হিসেবে অনুমোদন পাওয়া সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়কে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিতে বর্তমানে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি স্কুলটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ নিয়ে তৎপর হন। এর ধারাবাহিকতায় মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে কলেজে রূপান্তরিত হল।

নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে আর কোনো বাধা থাকছে না। এতে সোনাকানিয়া, মাদার্শা, সাতকানিয়া সদর, পৌরসভা, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ও আধুনগর ইউনিয়নের এসএসসি ও দাখিল পাশের পর ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সহজতর হল।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!