নতুন আলোর প্রত্যাশায় স্বাগত ২০২২

শুরু হল নতুন একটি বছর। মধ্যরাতে ভরা পৌষের ধবল কুয়াশার হিমেল চাদর ছিন্ন হয়ে গেল আতশবাজির ঝলকানিতে। খোলা প্রান্তরে দেখা দিয়েছে সোনালী স্বপ্নের হাতছানি। আজ শনিবার বাংলা ১৭ পৌষে গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী যাত্রা শুরু করল আন্তর্জাতিক নববর্ষ ২০২২। আর বাংলাদেশ পা রাখল স্বাধীনতা অর্জনের ৫০তম বছরে।

নতুন বছর এমন এক উপলক্ষ, যখন আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আসে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখার সময়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিলিয়ে দেখার সময়। এমন মুহূর্তে সবারই প্রত্যাশা— ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য নতুন সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রার ঢেউ নিয়ে আসুক, খুলে যাক সম্ভাবনার নবদিগন্ত। নতুন বছরে মানুষ চায় উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত পথে হাঁটতে। আমরাও চাই বিগত দিনের ব্যর্থতা, হতাশা আর বঞ্চনার অবসান।

চাই না ধ্বংস, হানাহানি, সংঘাত আর মৃত্যুর অসুস্থ রাজনীতি। অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি আর অগণতান্ত্রিক আচরণ থেকে সরে এসে কীভাবে সুন্দর উজ্জ্বল দিন নির্মাণ করা যায়, ঝঞ্ঝামুক্ত নিরুদ্বিগ্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়- সেই প্রচেষ্টাই চালাতে হবে সবাইকে। আমরা সবাই চাই, মিলিত চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে চমৎকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে নতুন বছর ২০২২-কে আলোকোজ্জ্বল করে তুলতে।

নতুন বছর উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পাশাপাশি দেশের মানুষের উন্নয়ন প্রত্যাশা করেছেন তারা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। মূল্যস্ফীতি আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জোয়াল যেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চেপে না বসে দেশবাসীর কাঁধে। দিন আনে দিন খায় মানুষ যেন খেয়ে-পরে শান্তিতে থাকতে পারে।

প্রত্যাশা যেমন বিপুল, বাংলাদেশের সম্ভাবনাও তেমনি বিপুল। চাওয়া আর পাওয়ার এই হিসাব মেলানোর মধ্য দিয়ে বিদায়ী বছরটি ছিল বৈচিত্র্যময়। নতুন বছরে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির যেন সুসমন্বয় হয়— এ প্রত্যাশা দেশের সবার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!