রাজীব সেন প্রিন্স :::
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের দেশেই যেকোন স্থানে উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন আছে। শুধু দেশের মানুষ নয় বিদেশীরাও বাংলাদেশের জাতীয় কবির গান কবিতা আর আবৃত্তি নাটক কিংবা গল্পছবি সম্পর্কে জানতে পারবে এ গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে। এছাড়া নজরুলের স্মৃতি সংরক্ষণে নজরুল সঙ্গীত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন কবির পৌত্রী খিলখিল কাজী।
বুধবার সকালে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন দাবী তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
খিলখিল কাজী বলেন, আজ আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। কিন্তু বাংলাদেশেই নজরুলের সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এমন একটি উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র হোক যার মাধ্যমে আমরা নজরুলকে পুরো বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো।
তিনি বলেন, শুধু শহরে নয়, গ্রামের প্রতিটি স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছে নজরুলকে পৌঁছে দিতে হবে। জাতীয় কবি সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। ‘তার আদর্শ দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ কাজটি করতে না পারলে সেটি হবে আমাদের অজ্ঞতা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আক্তারি মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন কবি আবুল মোমেন, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
খিলখিল কাজী বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি এবং কাজী সব্যসাচী’র কন্যা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রনে খিলখিল কাজী তাঁর বাবা-মায়ের সাথে বাংলাদেশে আসেন এবং এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
রিপোর্ট :: রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::