হচ্ছে-হবে করেও হয় না নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

১৩ বছর পর গেল বছরের ২৬ জুলাই জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাত সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এক মাসের মধ্যে সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিতে। কিন্তু এক মাসের জায়গায় এখন এক বছর হতে চলল, কমিটি পূর্ণাঙ্গ তো হয়ইনি, হয়নি কোনো সম্মেলনও।

কমিটিতে ছাত্রদলের মেয়াদ উত্তীর্ণ নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রাশেদ খানকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের আগের কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা তোফাজ্জল হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং খুলশী থানা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদারকে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা ও জমিরউদ্দিন নাহিদকে স্বেচ্ছাসেবক দলেরও যুগ্ম সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়াকে দেওয়া হয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ।

নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বশেষ বড় আয়োজন ছিল ইফতার মাহফিল। ২৯ মে অনুষ্ঠিত সেই ইফতার মাহফিলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল নগর নেতৃত্বকে ঈদের পরপরই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার তাগাদা দেন। কিন্তু সেই তাগাদাও আমলে নেওয়া দৃশ্যমান নয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সাত সদস্যের কমিটি গঠন হওয়ার পর আমি নিজে তিন মাসের কাছাকাছি কারাগারে ছিলাম। সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু দুই দফায় প্রায় তিনমাস কারাবন্দি ছিলেন। এখন আমরা সমন্বয় করছি। অতি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

এইচএম রাশেদ খান ছাত্রদলের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১১ জন নিয়ে গঠিত সেই কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হতো বিএনপি নেতারা নিজেদের পছন্দের নেতাকে পদ দিতে পদে পদে বাধা দিয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে ওরকম বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে রাশেদ বলেন, ‘ওরকম বাধা স্বেচ্ছাসেবক দলে নেই। সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সাতজনের মধ্যেও কোন বিরোধ নেই। কোন গ্রুপিং নেই। সবার পছন্দের কমিটিই আমরা ঘোষণা করতে পারবো বলে আশাবাদী।’

সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ‘আমি দুই দফায় কারাগারে ছিলাম। সভাপতিসহ অন্য ছয় নেতাও কারাবরণ করেন। সবাই এখন আন্তরিকতার সঙ্গে কমিটি গঠনে কাজ করছি। আশার দিক হলো দলের সব সিনিয়র নেতা আমাদের সহায়তা করছেন। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগী মনোভাব নিয়ে মাঠে ময়দানে সক্রিয় ছিলেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠন হবে। অতি দ্রুত আমরা কমিটি গঠন শেষ করবো৤’

সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণার পর আমরা সবাই বিভিন্ন মেয়াদে কারাবরণ করেছি। রমজানে সবাই কারামুক্ত হয়েছি। এরপর কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। শিগগিরই আমরা একটি ভালো কমিটি দলকে উপহার দিতে পারবো।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!