নগর ছাত্রলীগের ‘তিন সতীনের’ ঘরের কলহ মেটাতে চট্টগ্রাম এলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের টিম

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম এসেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের চার সদস্যের একটি দল। তবে আলোচনা সভার চেয়েও নগর ছাত্রলীগের ফাটল ও বিবাদমান উপ-গ্রুপগুলোর ‘অভিমান ভাঙ্গাতেই’ এই নেতারা এসেছেন বলে জানা গেছে।

এই চারজনের বহরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শওকত হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী এবং সহ-সম্পাদক পদমর্যাদার এক নেতাসহ মোট চারজন। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিমানযোগে তারা চট্টগ্রাম পৌঁছান।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নগর ছাত্রলীগের নেতারা তাদের বরণ করে নিয়ে যান সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর কবর জেয়ারতে। সেখানে কবর জেয়ারত শেষে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই দলটি।

এরপর বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগ দেন তারা।

তবে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নগর ছাত্রলীগে ‘তিন সতীনের’ ঘরের কলহ মেটাতে চট্টগ্রাম সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আয়োজনকেই বানানো হয়েছে উপলক্ষ।

আলোচনা সভা শেষে বিবাদমান কয়েকটি গ্রুপ প্রধানদের সাথে বিশেষ আলোচনারও কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই দলটির।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই সফরকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে চট্টগ্রামের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। নগর ছাত্রলীগের কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই কেন্দ্রীয় নেতাদের এই সফর স্বার্থক হবে মনে করেন তারা।

এর আগে গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর আচমকা উত্তর হালিশহর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও সদরঘাট থানা ছাত্রলীগের কমিটি দিয়ে বিপাকে পড়ে নগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইমু-দস্তগীর।

এই কমিটি ঘোষনার পরপরই রাস্তা অবরোধ করে ইমু-দস্তগীরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা। কমিটি ঘোষণার দুই দিন পরেই নগর ছাত্রলীগের পদধারী ১১ নেতার স্বাক্ষরে ঘোষিত হয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি।

মুলত এতদিন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও এবার নিজেদের বলয়ের নেতাদেরও বিদ্রোহে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয় ইমু-দস্তগীরকে।

পাল্টা কমিটি ঘোষণার দায়ে এর আগে নাসির বলয়ের দুই নগর ছাত্রলীগের নেতাকে বহিষ্কার করলেও নিজেদের গ্রুপের এই ১১ নেতাকর্মীর বেলায় তাদের দেখা গেছে কিছুটা নমনীয়। কারণ একই বলয়ের নেতাদের উপর বহিষ্কারের মতো কঠিন সিদ্বান্ত নিলে ‘হিতে বিপরীত’ হতে পারে ইমু-দস্তগীরের রাজনীতির ভবিষ্যৎ- এমনটাই ধারণা দিলো আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা।

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!