নগরীর ৩৪ শতাংশ এলাকা তাপ অসুরক্ষিত: চুয়েটের প্রতিবেদন

পরিবেশগত কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৪ শতাংশ অঞ্চলকে তাপ অসুরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একটি গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)-গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের অর্থায়নে এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের সহযোগিতায় দুটি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল নিয়ে এক তথ্য বিনিময়মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

০১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি কক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে ইউআরপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আসিফুল হক সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম।

এতে প্রধান আলোচক ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও চট্টগ্রাম সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. এম. আলী আশরাফ। সেমিনারে চট্টগ্রাম ডাবলমুরিং থানার সহকারী শিক্ষা অফিসার লিপি রানীসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার তাপ-তরঙ্গ অসুরক্ষিত সূচকের স্থানগত গঠন’ (অ্যা ‍স্পেশাল প্যটার্ন অফ হিট ওয়েভ ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স ফর চিটাগং সিটি করপোরেশন এরিয়া) বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ রায় রাজা। তার গবেষণা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৬ আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত ও সেবা সুবিধার মাত্রার উপর বিশ্লেষণ করে প্রায় ৩৪ শতাংশ এলাকাকে তাপ অসুরক্ষিত অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়।

অন্যদিকে,‘শিশুদের স্বাধীন চলাচলের সক্ষমতা: টেকসই নগরায়নের ভূমিকা-চট্টগ্রাম’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খাতুন-ই-জান্নাত। তার গবেষণা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাট ও উন্মুক্ত স্থানকে কীভাবে শিশুবান্ধব করা যায় এ বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে শিশুদের জন্য নিরাপদ পদচারণা নিশ্চিত করতে কিছু প্রস্তাবনাও রাখা হয়েছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!