নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে হাইকোর্টের রুল

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে হাইকোর্টের রুল 1বিশেষ প্রতিবেদক : বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় । নগরের অলি-গলি রাস্তা-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডুবে থাকে জলাবদ্ধতায় । তাই এ জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার ( ৬ আগষ্ট) হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রামের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের জলাবদ্ধতার ফলে নাগরিক দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ) গত ১ আগস্ট এই রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত আজ রোববার এ রুল জারি করলেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মহিউদ্দিন মো. হানিফ নিজেই শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী আকতার হোসেন।

পরে মহিউদ্দিন মহিউদ্দিন মো. হানিফ জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্তৃপক্ষ ১৯৯৫ সালে মাস্টার প্লান করে, যা ১৯৯৯ সালে গেজেট জারি করা হয়। সেই মাস্টার প্লান কেন বাস্তবায়ন হয়নি আদালত সেই বিষয়েও বিবাদীদের কাছে জানতে চেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, অবৈধ দখলের মাধ্যমে জলাধার ভরাট, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া শহরে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিও উঠছে। যে কারণে নগরবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা একে অপরকে দোষারোপ করছে, যার কারণে এই দুর্ভোগের নিরসন হচ্ছে না। এ কারণেই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের সব সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। রিটের প্রেক্ষিতে আদালত আজ এই রুল জারি করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!