নগরীর উন্নয়ন ২০১৮ সালের মধ্যে দৃশ্যমান হবে

নগরীর উন্নয়ন ২০১৮ সালের মধ্যে দৃশ্যমান হবে 1নিজস্ব প্রতিবেদক : জাইকার অর্থায়নে মহেশখালের প্রতিরোধ দেওয়াল ,আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন ,সিটি মেয়র

সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের আওতায় জাপানের জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালের প্রতিরোধ দেওয়াল, ব্রিজ, সড়ক নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ।

জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ২২৪ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯শত ৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর মহেষখালের ডাইভারশন খালের মুখ থেকে বেড়ীবাঁধ পর্যন্ত উভয় পাশে ২.৮০ কি.মি., ফইল্ল্যাতলী বাজার সংলগ্ন গয়নার ছড়ার মুখ থেকে স্টেডিয়াম হয়ে রেল লাইন পর্যন্ত ১.২৭ কি. মি. প্রতিরোধ দেওয়াল ৪.০৭ কি. মি., খালের উভয় পাশে আরসিসি রাস্তা এবং খালের উপর ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ৩টি দৃষ্টি নন্দন আরসিসি ব্রিজ, খালের পাশে বাগান, মনোরম পরিবেশে বসার ব্যবস্থা, পোর্ট কানেকটিং রোডের নিমতলা থেকে অলংকার মোড় ৬ কি. মি. দৈঘ্যর্, ১২০ ফুট প্রস্থ সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, উক্ত রাস্তার উভয় পাশে ২.৫ মি. প্রশস্থ, ১২ কি. মি. দৈর্ঘ্য আরসিসি ড্রেইন, ৩ মি. প্রশস্থ এবং ১২ কি. মি. দৈর্ঘ্যের ফুটপাত, ৬ কি. মি. দৈর্ঘ্যরে ৮ লাইন বিশিষ্ট ৬ কি. মি. দৈর্ঘ্যের বিটুমিনাস সড়ক, ২.৫ মি. প্রশস্থ এবং ৬ কি. মি. দৈর্ঘ্য মিডিয়ান দৃষ্টি নন্দন বাগান, ৬০০টি এলইডি লাইট স্থাপন এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২.৩৮ কি. মি. দৈর্ঘ্য এবং ১২০ ফুট প্রশস্থ ৮ লাইন বিশিষ্ট বিটুমিনাস সড়ক, সড়কের উভয় পাশে ২.৫ মি. প্রশস্থ এবং ৪.৭৬ কি. মি. দৈর্ঘ্য আরসিসি ড্রেইন, ২.৫ মি. প্রশস্থ এবং ৪.৭৬ কি. মি. ফুটপাত, ২.৫ মি. প্রশস্থ এবং ২.৩৮ কি. মি. দৈর্ঘ্য মিডিয়ান দৃষ্টি নন্দন বাগান ও ২৫০টি এলইডি লাইট স্থাপন কাজের আজ ২০ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. সোমবার, সকালে ফলক উন্মোচন এবং মুনাজাতের মধ্যদিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সোনালী ব্যাংকের দেওয়ালের পাশে, পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারন কাজের ফলক উন্মোচন করেন নিমতলা বিমান চত্বর এবং মহেষখালের উপর ৩টি ব্রিজ, প্রতিরোধ দেওয়াল ও সড়ক নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজের ফলক উন্মোচন করেন ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের পাশে।

এ সকল উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও আগ্রহে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়র বলেন, দুই অর্থবছরে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে নগরবাসী সরাসরি উপকৃত হচ্ছে।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা, সরকারের প্রকল্প সহযোগিতা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও জাইকার সহযোগিতায় নগরীর উন্নয়নে ২০১৮ সালের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে নগরী এলইডি লাইটিং দ্বারা আলোকায়ন, সকল কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ এবং পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ার কাজ সম্পন্ন হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবাধর্মী সকল কাজে এবং পৌরকর পরিশোধে সম্মানিত নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। এ সকল উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় প্যানেল মেয়র ও ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম এরশাদুল্লাহ, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুল হক, ৩৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিউল আলম, ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, জেসমিনা খানম, ফেরদৌসী আকবর, আফরোজা কালাম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোছাইন, আবু ছালেহ, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়–য়া, বিপ্লব দাশ, আবু সাদাত মো. তৈয়বসহ সহকারী প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!