নগরজুড়ে পুলিশের চেকপোস্ট, চলছে তল্লাশি

নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরজুড়ে পুলিশের ব্লকরেড চলছে এবং চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে যাত্রী ও মোটরসাইকেল চালকদের তল্লাশি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন এটি নিয়মিত কাজ। গ্রামে ঈদ আনন্দ শেষে শহরমুখী জনস্রোত যেন নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে পারে সে জন্য অপরাধীদের সম্ভাব্য সকল অবস্থানে পুলিশ ব্লকরেড দিচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর জোন) বিজয় বসাক।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, নগরের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতেই ব্লকরেড ও চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। সাথে ১৭ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের বোমা হামলা বার্ষিকীর বিষয়টিও জড়িত আছে।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা তিনটি স্থানে দেড় ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছি। পাশাপাশি বারোকোয়ার্টার এলাকায় ব্লকরেড দিয়েছি।

বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, বায়েজিদ আবাসিক, আমিন কলোনি এলাকায় আমি উপস্থিত থেকে ব্লকরেড দিয়েছি। চারটি স্পটে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করেছি।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, নতুন ব্রিজ মোড়, মেরিনার্স রোডের মুখে চেকপোস্ট এবং বাকলিয়া কালামিয়া বাজার, বলিরহাট এলাকায় ব্লকরেড দিয়েছি।

পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, চরপাড়া, বিজয় নগরে ব্লকরেড দিয়েছি, বাটারফ্লাই মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করেছি আমরা।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জামালখান মোড়, কাজির দেউড়ি মোড়সহ চার স্পটে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যাতে কোন দুষ্কৃতকারী কোন সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই তৎপরতা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ৩০০ স্পটে ৫০০ বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায় জেএমবি।

এর আগের বছর ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন নেতাকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানও নিহত হয়েছিলেন। নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও তারাও মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!