নগরজুড়ে দিনভর অভিযানে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৭৩ মামলায় দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব অভিযান চলে। এতে জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেন। অভিযানে মোট ৭৩টি মামলায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

নগরীর বন্দর, ডবলমুরিং ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। অভিযানে ওয়ালটন কোম্পানির এক ডিলারসহ মোট ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন আইনে মোট ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া নগরীর আকবরশাহ, হালিশহর ও পাহাড়তলী এলাকায় বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মিজানুর রহমান।

এ সময় তিনি নগরীর আকবরশাহ এলাকায় ২টি স্টেশনারি দোকান খোলা রাখায় ৫ হাজার টাকা, পাহাড়তলীতে একটি ঢেউ টিনের দোকানকে ২ হাজার, কয়েকটি ভাসমান দোকানকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া যৌক্তিক কারণ ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে কয়েকজন পথচারীকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
নগরজুড়ে দিনভর অভিযানে দেড় লাখ টাকা জরিমানা 1

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম পরিচালিত অভিযানে ৬টি মামলায় ১৮ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পৃথক আর একটি অভিযানে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানায় আতিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।

এদিকে হালিশহর এলাকায় ওএমএস পদ্ধতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রির সময় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন গালিব চৌধুরী। এ সময় মোট ১৪টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার ৪০০ টাকা।

দিনভর অভিযান বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, জেলা প্রশাসনের দশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারাদিন অভিযান পরিচালনা করে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য কাজ করেছেন। একই সঙ্গে যেখানে অনিয়ম পাওয়া গেছে সেখানে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সারাদিনের অভিযানে মোট ৭৩টি মামলায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!