তিন মাসে ৭৬৫ রোগীকে সেবা দিয়ে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৫ টাকা ঘাটতি রেখে ‘অর্থ সংকটে’ আপাতত নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিল করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইসোলেশন সেন্টারটির সমাপনী অনুষ্ঠানে দেয়া আর্থিক হিসাবের বর্ণনায় এমন তথ্যই জানিয়েছেন সেন্টারের মুখপাত্র জিনাত সোহানা চৌধুরী।
জিনাত সোহানা চৌধুরীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৩ মাসে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য মোট ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৩১৫ টাকা অনুদান জমা পড়েছে। এর বিপরীতে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি জানান, প্রাপ্ত অনুদান থেকে এখন পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের হাতে ৪ লাখ ৩ হাজার ৮১৫ টাকা থাকলেও বেতন বাবদ এখনও ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার দায় রয়েছে তাদের। যার মধ্যে হাতে থাকা ৪ লাখ টাকা বাদ দিলে এই মুহূর্তে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৫ টাকার ঘাটতি রয়েছে তাদের।
খরচের সবচেয়ে বড় অংশটি বেতনের পিছনে ব্যয় হয়েছে জানিয়ে আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা করে বেতন বাবদ খরচ করেছি। এর বাইরে রোগীদের খাবার ওষধপত্রও আমাদের সেন্টারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।’
আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘কে কত টাকা দিয়েছেন, কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার সব হিসাব আমরা নির্দিষ্ট করে তৈরি করেছি। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আমাদের সকল উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের ফেসবুক আইডিতে একযোগে এই হিসাব প্রকাশ করা হবে।’
এআরটি/সিপি