দেখে মনে হবে, সত্যিকারের পুলিশ – পোশাক তো বটেই, হাতের লাঠিটাও অবিকল। চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা মোড়ে যেন তার ‘ডিউটি’। এভাবে সবাইকে বোকা বানিয়ে চলছিল তার জোচ্চুরি। বেরসিকের মতো তাতে বাগড়া বাধালো সত্যিকারের পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার এএসআই দিদারুল ইসলামের হঠাৎই সন্দেহ হল আইয়ুবকে দেখে। তার চালচলন সন্দেহটা আরো বাড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে দিদারুল গিয়ে কর্মস্থলের কথা জিজ্ঞেস করেন আইয়ুবকে। প্রশ্নের উত্তর তৈরিই ছিল। জানালেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) স্যারের বডিগার্ড তিনি। ২০১৭ সালে যোগদান করেন বাংলাদেশ পুলিশে এবং ওই বছর থেকেই তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। সচরাচর এতেই থেমে যাওয়ার কথা যে কারও।
কিন্তু এএসআই দিদারুল থামলেন না। উল্টো ফোন করে বসলেন উপ-পুলিশ কমিশনারকে (বন্দর)। আইয়ুবের থলের বিড়াল তাতেই বের হয়ে গেল।
উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) জানান, এই নামে তার কোনো বডিগার্ড নেই। অবিলম্বে ভুয়া ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে আইয়ুব জানান, পুলিশের পোশাক পরে আন্দরকিল্লার জেমিসন রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে তার এক আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এরপর তার লক্ষ্য ছিল পতেঙ্গা থানায় একটি তদবিরে যাওয়ার। সেখানে তাদের পারিবারিক একটি অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছিল।
আইয়ুবের ভাষ্যমতে তার বাড়ি কর্ণফুলী থানার এক নম্বর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের নয়ারহাটে। তার পিতার নাম নুরুল হক এবং মা ফরিদা বেগম।
ভুয়া পুলিশ মো. আইয়ুবকে তল্লাশি করে পাওয়া গেল পাসপোর্ট, পুলিশে ব্যবহৃত লাঠি, হাফহাতা শার্ট, প্যান্ট ও একজোড়া জুতো।