‘নওফেলের প্রচারণায় শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রভাবিত হতে পারেন’

আমলে নিচ্ছেন না রিটার্নিং কর্মকর্তা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে নালিশের পর এবার শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নালিশ দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে নওফেলের বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়ার পাশাপাশি আবু সুফিয়ান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুল রহমানের কাছে পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া ও গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান অবশ্য শিক্ষা উপমন্ত্রীর বাসায় হওয়া সভাটি নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন নয় বলে জানিয়েছেন। তার মতে, নির্বাচনী আসনের সীমানায় কোনো মন্ত্রী, এমপি, মেয়র যদি সরাসরি প্রচারণায় অংশ নেন তাহলে সেটাই কেবল আচরণবিধি ভঙ্গ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগে আবু সুফিয়ান উল্লেখ করেন, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাংসদ আবু রেজা নদভীর পথ অনুসরণ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। সুফিয়ান শঙ্কা প্রকাশ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শিক্ষক, কর্মকর্তারা নির্বাচনের ভোট গ্রহণে সম্পৃক্ত থাকবেন। মন্ত্রী যদি এ ধরনের নির্দেশনা দেন তখন তাদের নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হবে না।

নওফেলের এ অবস্থানকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে সুফিয়ান অভিযোগে বলেন, ‘মাননীয় উপমন্ত্রী অতিব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের একজন উপমন্ত্রী। একজন আইন প্রণেতাও তিনি। দায়িত্বশীল পদে থেকে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। বিদ্যমান আচরণ বিধি ২০০৮ অনুযায়ী মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেয়র ও সংসদ সদস্য পদ মর্যাদার কেউ ঘরোয়াভাবেও প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর অনুরোধ জানান আবু সুফিয়ান।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!