ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ২, আদালতে স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা কুলগাঁও এলাকায় গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষন ও সহযোগীতার অপরাধে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ১১টায় উত্তর কুলগাঁওয়ের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 12994361_1125254894172250_3470887173500740578_n
গ্রেফতারকৃতরা হলেন প্রধান আসামি নেজাম উদ্দিন মিন্টু (২৫) ও ধর্ষনের শিকার তরুণীর শিফট ইনচার্জ ওসমান গণি (২২)। গনধর্ষন মামলায় আটককৃত আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আসামিরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলমের আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, গণধর্ষণের শিকার তরুণী কুলগাঁও বালুছড়া এলাকার কেয়া চয়েস গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

 

৯ এপ্রিল রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্জন স্থানে নিয়ে পাঁচজন মিলে এ পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে হত্যারও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।

 

ওসি জানান, এ ঘটনায় তরুণী নিজে থানায় এসে অভিযোগ দিলে আমরা এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করি। এবং জবানবন্ধি নিয়ে আমরা গতকাল রাতেই ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। প্রথমে তার সঙ্গী এবং গার্মেন্টসের শিফট ইনচার্জ ওসমানকে এবং পরে মামলার প্রধান আসামী নেজাম উদ্দিন মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।

 

মঙ্গলবার বিকেলে আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আসামিরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলমের আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। তরুণী এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। মঙ্গলবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানায় ওসি মহসিন।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::…….

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!