ধর্ষণের শিকার, বিচার চাইতে গিয়ে পদে পদে বিপাকে নববধু ও তার স্বামী

এক বছর প্রেম করার পর পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তারা। এ জন্য এক কাপড়ে ঘর ছাড়তে হয়েছিল তাদের। প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় একটি ভাড়া ঘরে সংসার পাতেন এই দম্পতি। তারা পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি, অন্যজন গার্মেন্টস কর্মী। কিন্তু তাদের সুখ বেশিদিন সইলো না। নতুন সংসার শুরুর মাত্র ১৭ দিনের মাথায় ২৯ আগস্ট রাতে বায়োজিদ এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হন নববধূ।

ঘটনার দিন রাতেই ধর্ষণে জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বিপদমুক্ত হতে পারেনি নবদম্পতি। এক একটা সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে ওই ঘটনার পর থেকে।

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ধর্ষিতার স্বামী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ঘটনার পর বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) তাদের থানায় ডাকা হয়েছিল। তারার থানা থেকে ফিরে দেখেন বাড়িওয়ালা বাসায় তালা মেরে দিয়েছেন। পরে আবার থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ গিয়ে তাদের ঘরে তুলে দিয়ে আসে। তবে আপাতত তারা বাসায় উঠলেও সমস্যার শেষ নেই, দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বাসা থেকে তিনি বেরুলেই অপরিচিত লোকজন এসে স্ত্রীকে যাতা বলছে, হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন তাদের এই বাসায় থাকা নিরাপদ নয়, আবার নতুন কোন বাসায় যাওয়াও সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের হাতে কোনও টাকা-পয়সা নেই। অল্প যা ছিল তাও ধর্ষকরা নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে একদম ভাল নেই। থানা আর মেডিকেলে দৌঁড়াতে গিয়ে কোনও কাজেও যেতে পারছি না। যদিও দুই দফায় এসআই সুমন স্যার আমাকে খাবারের জন্য টাকা দিয়েছেন। এখন কি খাবো, কি করবো বুঝতে পারছি না।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!