ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ৯৯৯-এ ফোন, কাটগড়ের তরুণী কাঠগড়ায়

ধর্ষণের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করেন এক তরুণী। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে এক নারীসহ ৪জনকে আটক করলেও পরে উদঘাটিত হয় আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এমন কাণ্ড ঘটান ওই তরুণী।

এ তথ্যের ভিত্তিতে রনি দত্ত (২৩), মো. জোবায়ের (২৮) এবং নেয়ামতকে (৩৮) আটক করে পতেঙ্গা পুলিশ।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ৫৬ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার কাটগড়ে এ ঘটনা ঘটে। জরুরি সেবা-৯৯৯ এর মিডিয়া সেলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

তাতে বলা হয়, রাত ২টা ৫৬ মিনিটে ৯৯৯-এ ফোন করে জরুরি পুলিশ সহায়তা চায় ওই তরুণী। তাৎক্ষণিকভাবে পতেঙ্গা থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ঘটনাস্থলে পতেঙ্গা থানার পুলিশ ফোর্স গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে কাটগড়ের ইয়াসমিন আক্তার নামের এক মহিলা বাসা থেকে।

পুলিশকে ওই তরুণী জানান, চাকরির সন্ধানে চট্টগ্রামে আসেন তিনি। ইয়াসমিন আক্তার নামের মহিলা সাথে পরিচয় হলে তার বাসায় রাখা হয় তরুণীকে। পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে তাকে আটকে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, কাঠগড়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তরুণী ইচ্ছে করে ওই তিন যুবকের সাথে চট্টগ্রামে আসে। টাকা পয়সার লেনদেনে ওদের মধ্যে সমস্যা হলে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ধর্ষণের নাম দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় ওই তরুণী। এ সময় ইয়াসমিনসহ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

আরএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!