ধর্ষণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে ব্যতিক্রমী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) নগরীর শুলকবহরের সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আলমের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার শপথ নেওয়া হয়।

‘সচেতনতার আলোয় দূর হোক সমাজের সকল অন্ধকার’— এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ।

সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, ৭ ও ৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফরিদ নেওয়াজ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বপন, পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগ নেতা এসএম খালেদ বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন, দীনবন্ধু দাশ, আলী আকবর, হোসেন মোহাম্মদ মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম মান্নান খান, আকতার ফারুক, অহিদ চৌধুরী মুক্তি, শাহীন উল আলম, নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান বাবুল, আলী হায়দার।

সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আলমের উদ্যোগে ধর্ষণবিরোধী প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি
সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আলমের উদ্যোগে ধর্ষণবিরোধী প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন নোবেল, ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল বশর, সাবেক কমার্শিয়াল কলেজের ভিপি মাসুদ খান, জিএস ইফতেকার হাসান বেনজির, ৪২ নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা আনেয়ারা আলম, ৪২নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জোহরা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদুল আনোয়ার খান, যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার তৈয়ব হোসেন রুবেল, ৪২ নং মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব হোসেন আরা সোমা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নুর নাহার ফুলু, লাকি বেগম, যমুনা তালুকদারসহ আরও অনেকে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যদণ্ডের বিধান রাখায় ধর্ষণের হার অনেকাংশে কমবে। কিন্তু শুধুমাত্র শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে সমাজ থেকে পুরোপুরি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব নয়, যদি না আমরা সামাজিকভাবে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতন না হই। যদি না করি আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন। তাই আমাদের প্রত্যেককে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকেই সামাজিক সচেতনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!