ধর্ষণের পর খুন, বাঁশখালীর এক ডাকাতের ধারাবাহিক অপরাধ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অজ্ঞাত এক নারীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। খুনের পর ওই নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মসজিদের ইমাম ডেকে জানাজা পড়িয়ে বেড়িবাঁধেই কবর দিয়েছে ধইল্যা ডাকাত নামের এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। গত ২৭ অক্টোবর রাতে ছনুয়া নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই নারীকে ধইল্যা ডাকাত নিজেই ধর্ষণের পর খুন করে। ধইল্যা ছনুয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুল হকের ছেলে। স্থানীয়দের ধারণা ওই নারীর বাড়ি উত্তরবঙ্গের কোনো এক জায়গায়।

পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে সাগরে ৩১ জেলে হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে।

মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত নারীর লাশটি ধইল্যার স্ত্রী পরিচয় দিলে আমি জানাজা পড়াতে রাজি হয়েছি। ওই নারীকে যে খুন করা হয়েছে তা আমি জানি না। সকালে লোকমুখে ঘটনা জানতে পারি।’

আবুল কালাম প্রকাশ ধইল্যা ডাকাতের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ‘আমিই ধইল্যার স্ত্রী। যে নারীকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে সে একজন অজ্ঞাত মহিলা। আমার সন্তান রয়েছে। কিন্তু ধইল্যা আমাদের দেখাশুনা করে না। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কথায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মহিলাদের সে ছনুয়ায় নিয়ে আসে। তারপর হিসাব-নিকাশ না মিললে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।’

বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘আমি লাশ দাফনের ব্যাপারে শুনেছি। বিস্তারিত জানি না। আমি ব্যবসায়িক কাজে এখন এলাকার বাইরে আছি। তবে ডাকাত ধইল্যা তার ওয়ার্ডের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা বলে তিনি নিশ্চিত করেন।’

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবগত করেনি। বিষয়টি আমি দেখছি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!