কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় দফায় ২১ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অতিথিবৃন্দ। ২১ হাজার ইয়াবা ও ১০টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ ও মাদক কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ, মুফতি মো. কিফায়ত উল্লাহ শফিক, টেকনাফ পৌরমেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নুরুল হুদা প্রমুখ।
আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারিরা হল টেকনাফ মৌলভীপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৯), আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল আমিন (৩৯), সাবরাং লেজিরপাড়ার মকতুল হোছনের ছেলে মো. ইদ্রিস (৫৭), টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. ইসমাঈল (৩১), সাবরাং খয়রাতি পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মো. সাদ্দাম (২৭), মৌলভীপাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে বশির আহমদ (৪০), সাবরাং সিকদারপাড়ার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গফুর (২৬), মৌলভীপাড়ার ফজল আহমদের ছেলে মো. রিদুওয়ান (২২), উত্তর লম্বরির জহির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ব (৩৮), হ্নীলা ফুলের ডেইলের ফকির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮), হ্নীলা সিকদারপাড়ার নুর কবিরের ছেলে ঈমান হোছন (৩০), কক্সবাজার ঝিলংজার আবুল হোছন সওদাগরের ছেলে ঈমান হোছন (৪৩), টেকনাফ মৌলভীপাড়ার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩০), হোয়াইক্যং পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৮), টেকনাফ মৌলভীপাড়ার ছৈয়দ হোছনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (২৯), রুহুল আমিনের ছেলে ফজল করিম (২৬), পুরান পল্লান পাড়ার কামাল হোছনের ছেলে আব্দুল নুর (৩৯), মাঠপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহেদ উল্লাহ (২৪), সাবরাং সিকদার পাড়ার আমির হোছনের ছেলে মো. হোসেন প্রকাশ কালু (২৮) ও হ্নীলা ঊলুচামরী কোনার পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩)।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা কারবারি টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। একইদিন আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্রসহ দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। গত ২০ জানুয়ারি মামলা দুইটির অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আত্মসমর্পণকারী ১০২ মাদক কারবারির মধ্যে অসুস্থ্যতায় একজন মৃত্যুবরণ করেছেন বাকি ১০১ জন এখনো কারাগারে রয়েছেন।
এএইচ/এডি