চট্টগ্রাম নগর ময়লামুক্ত রাখতে ঘরে ঘরে ফেলার ‘বিন’ বিতরণ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এ সময় চসিক জানিয়েছিল, এখন থেকে ডোর টু ডোর চলবে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ। এতে নগরের সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন থাকবে চারপাশ। কিন্তু আবর্জনা অপসারণে অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকে সড়কেই ফেলছে নিত্যদিনের বর্জ্য। বিশেষ করে নগরীর হেলদি ওয়ার্ডখ্যাত জামালখান এলাকায় সড়কের উপর আবর্জনা ফেলছে স্থানীয় দোকানিরা। এতে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন নিজেই আবার চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, জামালখান এলাকার বৌদ্ধ মন্দির সড়কে চলাচলের পথেই ময়লা আবর্জনার স্তূপ করে রেখেছেন স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা। এসব আবর্জনা গাড়ির চাকায় লেগে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো সড়কে। এতে প্রতিদিনই চলার পথে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অতিষ্ঠ পথচারীরা।
ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি, ডাস্টবিন তুলে ফেলার পর থেকেই দোকানের আর্বজনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। চসিকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলছে না ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহের কাজ। ফলে তারা দোকানের আবর্জনা সন্ধ্যা নাগাদ সড়কে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। পরে রাত ৯টা-১০টা নাগাদ চসিকের গাড়ি এসে নিয়ে যায় এসব আর্বজনা। এভাবেই চলছে ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহের কাজ!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফুল ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সড়ক নোংরা হোক, আমরাও চাই না। তবে কোথায় যাবো ময়লা নিয়ে? চসিকের কথামত ‘ডোর টু ডোর’ প্রক্রিয়ায় সরাসরি দোকান থেকে ময়লা নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এভাবে ময়লা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে চসিকের সেবকরা বাড়তি টাকা দাবি করে। এখন তো দেখছি, ময়লা ফেলতে ঘুষ দিতে হবে! তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় ফেলছি ময়লা।’
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও সাড়া দেননি ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন।
এএ/এসএ