এস এম আরোজ ফারুক, কক্সবাজার ॥
ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারণে সাগরে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। কাঁচা মাছ না থাকায় শুটকী উৎপদনও বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। এছাড়াও শুটকী উৎপাদন মৌসুম শুরু হবে অন্তত দেড় মাস পর। মাছ না থাকায় এর প্রভাব পড়েছে শুটকী বাজারে। শুটকীর দোকানগুলোতে শুটকীর ঘাটতি না থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে চওড়া দামে।
মুলত নতুন শুটকী না আসার কারনে আগের মাছগুলো বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবাসায়ীদের। তবে পর্যটকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বেশি দাম দিয়ে শুটকী কিনলেও বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। কারন কম দামে ভাল শুটকী কিনার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো প্রায় দেড় মাস। এদিকে পর্যটকরা বাধ্য হয়েই পুরানো শুটকী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সুন্দরবন শুটকী বিতানের শুটকী বিক্রেতা মোঃ সেলিম জানান, কিছু দিন ধরে শুটকী উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমরা নতুন শুটকী পাচ্ছি না। তাই স্থানীয় বা পরিচিত ক্রেতারা আসলে আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি কিছু দিন পরে কিনতে অথবা তাদের অল্প পরিমান মাছ বিক্রি করছি।
অন্যদিকে পর্যটকরা সব সময় কক্সবাজার এসে শুটকী কিনতে পারবে না জন্য তাদের কাছে ভাল মাছ টা বিক্রি করার চেষ্টা করছি তবে দাম টা এখন বেশি। আশা করি নতুন মাছ এলে শুটকীর দাম কমে যাবে।
বুধবার বড় বাজারের শুটকীর দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দোকান গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান শুটকী মজুদ রয়েছে। তবে নতুন মাছ না থাকার কারনে আগের মাছগুলো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোতে ক্রেতাদেরও তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি।
সুন্দরবন শুটকী বিতান, নিউ ঢাকা শুটকী বিতান, মায়ের দোয়া শুটকী বিতান, কুয়াকাটা শুটকী আড়ৎসহ বড়বাজারের দোকানগুলো ঘুরে যানা গেছে শুটকীর বর্তমান মূল্য। ১১০০ টাকা কেজি দরে যে ছুরি শুটকী বিক্রি হচ্ছে তার দাম আগে ছিল ৮০০ টাকা। আগে ৭০০ টাকায় বিক্রি হওয়া মাঝারি সাইজের ছুরি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়, ছোট ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা কিছু দিন আগেও ছিল কেজি ৪০০ টাকা। ৩৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া লইট্যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। রুপচাঁন্দা শুটকী বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকায়, ৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়া সুরমার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, কাচকি ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কোরাল আগে ছিল ৮৫০ বর্তমানে তার মূল্য ১০০০ টাকা।
সুন্দরবন শুটকী বিতানের সত্ত্বাধীকারী হামিদ হোসেন জানান, কাঁচা মাছ না থাকার কারনে শুটকী হচ্ছে না তাই আমরা মজুদ থাকা শুটকী বিক্রি করছি। এ কারনে দাম একটু বেশি হলেও নতুন মাছ আসলেই দাম কমে যাবে। আর শুটকী কম থাকায় বর্তমানে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রামেও রপ্তানী করতে পারছি না তাই শুটকী ব্যবসাটা তেমন ভাল যাচ্ছে না।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::