দেশ ছেড়ে যাওয়া রন সিকদারের বিলাসবহুল গাড়ি ‘রেঞ্জ রোভার’ জব্দ

এক্সিম ব্যাংকের দুই পরিচালককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠার পর পরই ব্যক্তিগত জেট বিমানে ঢাকা থেকে ব্যাংকক চলে যাওয়া সিকদার গ্রুপের কর্ণধার জয়নুল হক সিকদারের দুই ছেলের মধ্যে রন হক সিকদারের বিলাসবহুল ‘রেঞ্জ রোভার’ ব্র‍্যান্ডের গাড়িটি জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাদা গাড়িটি জব্দ করা হয়।

এর আগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের গাড়িটি জব্দ করেন ডিবি উত্তরের ইন্সপেক্টর ফজলুল হক।

বুধবার (৩ জুন) সকালে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা বিভাগ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সঙ্গত কারণেই অভিযানে মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কারণ, চিকিৎসার কথা বলে আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন লিমিটেডের একটি জেট বিমানে সোমবার (২৫ মে) সকাল নয়টায় তারা ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হন। আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশন সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

মামলায় নির্যাতনকারী হিসেবে সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার নাম উল্লেখ করা হয়। নির্যাতনের শিকার হন এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঋণের জন্য বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন সিকদার গ্রুপের ওই দুই পরিচালক। পাশাপাশি তাদের গুলশানের একটি বাড়িতে আটকে ও নির্যাতন করে সাদা কাগজে সই নেয়া হয়।

সিকদার গ্রুপের মালিক জয়নাল শিকদারের দুই ছেলে রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার গুলশান থানায় এক্সিম ব্যাংকের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। দুজনই ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মুল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় রন হক ও দিপু হক এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া দুই কর্মকর্তাকে বনানীর বাসায় জোর করে আটক রেখে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে সই নেন।

মামলাটির তদন্ত করছে ডিবির উত্তর বিভাগ। এই বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁরা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যেই তাঁরা কাজ করছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!