দেশের ‘সেরা রাঁধুনী’ চট্টগ্রামের সাদিয়া, পেলেন ১৫ লাখ টাকা

খুলনা ও ঢাকাকে হারিয়ে চট্টগ্রামই সেরা

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর এবারের ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৭’-এ বিজয়ী হয়েছেন চট্টগ্রামের বিবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া তাহের। এজন্য তাকে হারাতে হয়েছে সেরা তিনের অপর দুই প্রতিযোগী খুলনার নাদিয়া নাতাশা ও ঢাকার মরিয়ম হোসেন নূপুরকে। এর মধ্যে নাতাশা দ্বিতীয় ও নূপুর তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। বিজয়ী হিসেবে সাদিয়া তাহের পেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, নাদিয়া নাতাশা পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা এবং মরিয়ম হোসেন নূপুর পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিযোগিতা শেষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

দেশের নানা প্রান্তের রন্ধনশিল্পীদের রান্নার প্রতিভার কথা সারাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ষষ্ঠবারের মতো সেরা রাঁধুনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর। বিভাগীয় অডিশনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ২৮ জন নির্বাচিত হন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে।

গ্র্যান্ড অডিশনের পর তাদের ১৫ জনকে নিয়ে শুরু হয় মহামঞ্চের (স্টুডিও রাউন্ড) লড়াই। তার আগে বিভিন্ন বিষয়ের এক্সপার্টদের কাছ থেকে তাদের জন্য ছিল প্রয়োজনীয় গ্রুমিং সেশন। মহামঞ্চে একের পর এক অভিনব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। কখনো ছিল নিখাঁদ দেশি রান্নার পরীক্ষা, কখনো বা তৈরি করতে হয়েছে বিদেশি রান্না, ছিল মোগলাই রান্না, ইফতার-সেহরি তৈরির দক্ষতা যাচাই, রহস্যময় বাক্সের চ্যালেঞ্জ কিংবা চোখ বুজে স্বাদ নিয়ে রেসিপি বোঝার অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নাটকীয়তা তৈরির স্বার্থে এই পর্বগুলোর পরতে পরতে ছিল প্রচুর চমক ও টুইস্ট। আর শুধু তাদের কুকিং স্কিলই না, রেসিপিগুলোর প্রক্রিয়া ব্যয় ও মূল্য নির্ধারণে তাদের পারদর্শিতাও যাচাই করা হয়েছে। এরকম কঠিন নানা চ্যালেঞ্জ পার হয়ে নাতাশা, সাদিয়া ও নূপুর সেরা তিনে জায়গা করে নেন।

এরপর কক্সবাজারে আরো দুটি প্রফেশনাল চ্যালেঞ্জের (ফাইভ স্টার কিচেন সামলানোর ‘রেস্টুরেন্ট চ্যালেঞ্জ’ এবং ‘সি-ফুড চ্যালেঞ্জ’) মুখোমুখি হতে হয় তাদের। যার নম্বর নির্ধারণ করে চূড়ান্ত ফলাফল।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজনে এসেছিলেন সেরা রাঁধুনীর মহামঞ্চের লড়াইয়ের জন্য নির্বাচিত ১৫ জন ও তাদের পরিবার-স্বজনেরা, সেরা রাঁধুনীর বিগত আসরগুলোর শীর্ষ প্রতিযোগী, দেশের বরেণ্য রন্ধন বিশেষজ্ঞ ও স্কয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

উপস্থাপক মারিয়া নূরের আমন্ত্রণে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। তিনি সব প্রতিযোগীকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলার স্বাদ ও খাবারের কথা বিশ্বমঞ্চে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এর মহামঞ্চে অংশ নেওয়া বাকি ১২ জনের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক ও চেক তুলে দেন প্রতিযোগিতার তিন সম্মানিত বিচারক এক্সিকিউটিভ শেফ শুভব্রত মৈত্র, রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা,অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা এবং অঞ্জন চৌধুরী। গ্র্যান্ড ফিনালের বর্ণাঢ্য আয়োজনে আরো ছিল অভিনেত্রী তারিন জাহানের কুইজ শো, অভিনেতা সাজু খাদেমের কৌতুক এবং গানের দল ‘জলের গান’-এর পরিবেশনা।

ফলাফল ঘোষণার নাটকীয় পর্ব শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও স্মারক চেক তুলে দেন প্রতিযোগিতার তিন বিচারক, অঞ্জন চৌধুরী ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!