দেশের বাইরে যাওয়া মানা মিতু খুনের তিন আসামির

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যামামলার পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এই তিন আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও খায়রুল ইসলাম কালু।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকালে শুনানি শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

মিতু হত্যামামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে পাঁচজনই কারাগারে থাকলেও এর মধ্যে কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম কালুর কোনো হদিস পায়নি পুলিশ। তবে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে মামলাটির সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন, ২০১৬ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের পর কিছুদিন পালিয়ে থেকে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার স্বামী মুছা। তবে যেদিন মুছা আদালতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেদিনই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যান।

এই মামলায় পলাতক তালিকায় পরে যুক্ত হন নগরীর অন্যতম সন্ত্রাসী এহতেশামুল হক ভোলা।

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। সোমবার আদালত শুনানি শেষে ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

এখন আদালত থেকে আদেশটি দেশের সকল স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে মিতু তার ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় জিইসি মোড়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মিতু হত্যার ৫ বছরের মাথায় গত ১২ মে তার পিতা মোশারফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই।

পিবিআই ১২ মে বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৭ মে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য। কিন্তু বাবুল আক্তার আদালতে জবানবন্দি না দেওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ বাবুল আক্তারকে ফেনী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!