দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে: প্রধানমন্ত্রী 1ঢাকা প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে জঙ্গিবাদ।

জঙ্গিবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আত্মঘাতী হয়ে জান্নাতে যাওয়া যায় না। তাদের স্থান জাহান্নাম। একজন তরুণ দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। একটি পরিবারের অনেক স্বপ্ন থাকে তাকে নিয়ে। কিন্তু তাকে আমরা ধ্বংস হয়ে যেতে দিতে পারি না। কেউ জঙ্গিবাদে জড়ালে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া ছিলো মেট্রিক পাস। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া মেট্রিক ফেল। এই অশিক্ষিতরা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে দেশকে শুধু পিছিয়ে দিয়েছে। দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যদি ১০ বছর দেশের ক্ষমতায় থাকতেন তবে দেশ অনেক আগেই উন্নত হতো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা যারাই ক্ষমতায় এসেছে দেশকে শুধু পিছিয়ে দিয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি কিছুই দিতে পারবো না। শুধু একটা সম্পদই দিতে পারি। এ সম্পদ হলো শিক্ষা। যা কোনো দিন চুরি হবে না। কেউ ডাকাতি করে নিয়ে যেতে পারবে না।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকার রয়েছে। প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আমি শুধু এইটুকুই বলবো, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে আমার লাখো শহীদের রক্ষে রঞ্জিত পতাকা দিয়েছে, রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাদেরও বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হতেই হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে শিক্ষিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। নতুন নতুন বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।

এ সময় তিনি আগামীর নেতৃত্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের ৭২ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগের এ পূনর্মিলনীতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!