প্রথম বাংলাদেশি হিসেবেই এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পারতেন তামিম ইকবাল; কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের চট্টগ্রাম টেস্টে আহত হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরায় তখন টেস্টে ৫ হাজার রান ছুঁতে পারেননি। তামিমের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও মুশফিকুর রহিম দারুণ ব্যাটিং করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রান করে ফেলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষে তামিম ছিলেন ১৯ রান দূরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অ্যান্টিগায় বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ৫ হাজারি ক্লাবে ঢুকে পড়েছেন তামিমও। ইনিংসের সপ্তম ওভারে কেমার রোচকে মিডউইকেটে ফ্লিক করে তিন রান নেন তামিম। তাতেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁয়ে ফেলেন মাইলফলক।
তবে ইনিংসের হিসেবে তামিমই এই তালিকায় দ্রুততম বাংলাদেশি। পাঁচ হাজার রান করতে ৬৮ টেস্টে ১২৯ লেগেছে তামিমের। অন্যদিকে মুশফিকের লাগে ৮১ ম্যাচে ১৪৯ ইনিংস।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে রান সংগ্রাহক তালিকায় সেরা পাঁচে মুশফিক-তামিমের পর আছেন সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক আর হাবিবুল বাশার। সাকিবের রান ৬২ টেস্টে ৪১১৩, মুমিনুলের ৫৪ টেস্টে ৩৫২৫ আর বাশারের ৫০ টেস্টে রান ৩০২৬।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে মুশফিকের আগে তামিমই প্রথম ছুঁতে পারতেন এই কীর্তি। ৪৮৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, সেঞ্চুরি তুলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হলে অপেক্ষা বাড়ে। ততক্ষণে ৪৯৩২ রান নিয়ে ক্রিজে আসা মুশফিক পৌঁছে যান ৫ হাজার রানে। ঢাকায় হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়ায় অপেক্ষা আরো বাড়ে তামিমের।
তবে, তামিমের এই অর্জনের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটি বিভীষিকাময় হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। অ্যান্টিগা টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আটজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসেছেন, যার মধ্যে চারজনই ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায় উইন্ডিজ সফরের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম সেশন শেষে ২৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মোটে ৭৬ রান করেছে সফরকারীরা।
এমএহক