দেশীয় তৈরী গুলিসহ ২ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক

দেশীয় তৈরী গুলিসহ ২ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক 1মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়িঃ নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী  গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার ত্রাস, ডাকাতি, অপহরন সহ নানা অপকর্মের গডফাদার আবদুর রহিম(৩২) আবু নয়ন প্রকাশ সোনা মিয়া (৩৪)  অবশেষে পুলিশের জালে বন্দী।

পুলিশের সুত্রে জানা যায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে এ এস আই কাউসার এ এস আই জুয়েল এ টি এস আই বদরুল আলমসহ এক দল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে  কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শিবাতলী এলাকায় ৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে রহমতুল্লাহর বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও গুলিসহ তাদের আটক করে পুলিশ।

এই বিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কাজি আরিফ উদ্দিন জানান, এ সন্ত্রাসীদের ধরতে ইতিমধ্যে তারা বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। গত কাল অবশেষে ডাকাত, ও অপহরণ কারী এ সন্ত্রাসীদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

তিনি আরো জানান, আটক দুই ডাকাতকে সংশ্লিষ্ট  আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করে আদালতে প্রেরণ করা হবে। রামু পূর্ব অঞ্চলের আলোচিত ২ ডাকাতদের আটকের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার হাজার হাজার মানুষ আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়।

জানা যায়,  ঐ ডাকাত ও শীর্য সন্ত্রাসী ডাকাত আবদুর রহিম গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা মৃত, সুলতান আহাম্মদ ছেলে আর আবু নয়ন প্রকাশ সোনা মিয়া কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঘিলাতলী, এলাকার মোঃ ইসলামের ছেলে। সুত্রে জানায়,  তারা এলাকার আলোচিত শাহীন বাহিনীর প্রধান শাহীন পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে থাকায় ঐ বাহিনীর প্রধানের ভূমিকায় পালন করেন রহিম ও সোনা মিয়া।

তারা রামুর ঈদগড়,গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীসহ দুই উপজেলায় দীর্ঘ দিন  ধরে পাহাড়ি এ জনপদে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি, অপহরণ, ছিনতাই, ধর্ষন, চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। এলাকার সচেতন মহলের দাবী রহিম ও সোনা মিয়া ডাকাত দল বল নিয়ে সম্প্রতি ঈদগড় বাইশারীতে যে অপহরণ সংঘটিত হয়েছে তাতে তারা জড়িত। নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু সকল শ্রেণীর মানুষেরে দাবী এই সত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!