দেবী বন্দনার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা

আজ থেকে মহাষ্টমী তিথিতে বোধন ও দেবী বন্দনার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা। মহালয়ার মধ্যদিয়ে গত ১৭ অক্টোবর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের। ২৩ অক্টোবর সপ্তমী তিথিতে পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আয়োজন। ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শেষ হবে।

করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলছে এবারের দুর্গাপূজা।এদিকে ঐতিহ্যবাহী থিমনির্ভর পূজা না হওয়ায় আমেজ কমেছে এবার। সেই সাথে সন্ধ্যারতি বা সন্ধ্যার পর সর্বসাধারণের জন্য দুর্গাপূজার মন্দির/মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ফলে সন্ধ্যার পর এবার পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা কিংবা আরতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৮০০ মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মহানগরীতে ২৭৩ টি মণ্ডপে এবং উপজেলাগুলোতে ১ হাজার ৫২৭ টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে , চট্টগ্রাম নগরীতে এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হচ্ছে কোতোয়ালী থানা এলাকায়। এই থানা এলাকায় ৮২টি মণ্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী জেএমসেন হল, হাজারীগলি, ঘাটফরহাদবেগ এলাকার পূজামন্ডপ সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনার মহামারির কারণে সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছেন আমরা সেগুলো শত ভাগ মানার চেষ্টা করছি।’

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন,
‘চট্টগ্রাম মহানগরে ২৭৩টি মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ, সামজিক দূরত্ব মেনে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবার। পূজা মণ্ডপগুলোতে স্থানীয়ভাবে পুলিশ দেয়নি। তাই আমরা একটু শংকিত। নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে স্থানীয় ভাবে পুলিশ মোতায়েন হলে ভাল হত।’

আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!