যে কারণে রিকশামুক্ত দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং সড়ক

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রধান ও ব্যস্ততম আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়ককে যানজটমুক্ত করতে দেওয়ানহাট মোড় থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এ প্রথমবারের মত রিকশামুক্ত করা হয়েছে। সিএমপির ট্রাফিক (বন্দর) বিভাগের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম রিকশা মালিক সমিতি। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রিকশা প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এই উদ্যোগটির সফল বাস্তবায়নের উপরই নির্ভর করছে মূলত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বহদ্দারহাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রিকশা চলাচলমুক্ত রাখার পরিকল্পনাটি।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ তারেক আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অংশ হিসেবে দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ থাকে। কেননা এই সড়ক দিয়ে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সব যানবাহন ছাড়াও সিইপিজেড, কেইপিজেডের গাড়িও যাতায়ত করে। ফলে বিমানবন্দরগামী যাত্রীসহ অফিসগামী লোকজন যানজটে পড়ে দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু ব্যস্ততম এই সড়কটি যথেষ্ট বড় হলেও রিকশার কারণে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এ বিষয়ে রিকশা মালিক সমিতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়। সবার উদ্যোগে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেওয়ান হাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ করার পর চৌমুহনী মোড় ও বাদামতলী মোড়ের পূর্ব পশ্চিমে রাস্তা অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ মোড়ও ক্রস করতে দেয়নি। তবে এই উদ্যোগটি সফল করার জন্য বাড়তি ২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পরবর্তীতে রিকশা চালকদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামের ভিআইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত শেখ মুজিব সড়কের এ অংশ দিয়ে নিয়মিত যানজট লেগে থাকার কারণ হিসেবে রিকশা চলাচলকে দায়ী করা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। তাই প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রিকশা তুলে তাদেরকে সহযোগিতা করছি।’

সিদ্দিক মিয়া আরও জানান, নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশার সংখ্যা ৭০ হাজার। তবে এর মধ্যে ৪ হাজার রিকশা দেওয়ান হাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত চলাচল করতো।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!