দেওয়ানহাটে অবৈধ ঘর নির্মাণকাজ বন্ধ করে নোটিশ টাঙালেন কাউন্সিলর

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের জের

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল করে অবৈধ ঘর নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে। ওই জায়গায় ‘বিনা অনুমতিতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

রোববার ( ১৫ জানুয়ারি) সাইনবোর্ডটি টাঙান ২৩ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ।

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এই কাজ বন্ধ করা হয়। এর আগে অনুসারীদের নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ অবৈধ ঘর তৈরি করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ১০ জানুয়ারি ‘দেওয়ানহাটে রাতারাতি ৫০টি পাকা ঘর উঠছে সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল নিয়ে’ এবং ১৫ জানুয়ারি ‘কাউন্সিলরের ‘ইশারা’য় দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে এবার রাতের আঁধারে অবৈধ ঘর উঠছে’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে। এরপরই টনক নড়ে কাউন্সিলরের।

এ বিষয়ে ২৩ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, ‘কিছু লোক আমার নামের অপব্যবহার করছে। চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকায় এ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। ওই এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে ‘বিনা অনুমোতিতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ সাইনবোর্ড’ টানিয়ে দিয়েছি। মেয়র মহোদয় বিদেশ সফর শেষে আসলে ওনার পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী দেয়াল ভেঙে দেওয়া হবে।’

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ওভারব্রিজের নিচে দীর্ঘদিন দখলে থাকা বস্তি উচ্ছেদ করেছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ওই বস্তি মাদক ও নানা অপরাধের অভয়ারণ্য বলে অভিযোগ ওঠে। উচ্ছেদের পর চারপাশে কাঁটাতারের ঘেরাও দেওয়া হয় সেই সময়।

এরপর তিন মাস না যেতেই স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদের অনুসারীরা জায়গাটি দখল করে প্রায় ৫০টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে। বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েও নেয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!