দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না-দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশে এমন কোনো খাত নেই, যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। এ জন্য দেশের জিডিপি নষ্ট হচ্ছে। মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত, শুধু দুর্নীতির কারণে পারছে না।’ দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেবে না কমিশন। সরকারি অফিসগুলোতে জনগণের হয়রানি কমাতে সংশ্লিষ্টদের এমন নির্দেশ দেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

102_Dudak_ctg_250516_1

বুধবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপও নেই। দুদকে সরকার আর বিরোধী দল বলে কোনো শব্দ নেই। দুদকের কাছে সবাই সমান। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যে দলেরই হোক কিংবা তিনি যতই সাধারণ কিংবা অসাধারণ হোক, দুদকের নজরে আসলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, শিক্ষা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। দুদক এই খাতে দুর্নীতি বন্ধ করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি রোধ করার জন্যও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি মোকাবিলায় আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে তা প্রতিরোধ করা, সে প্রতিরোধের কাজটিই আমরা করছি। দুর্নীতি ঘটার আগে তা কীভাবে বন্ধ করা যায় সেটিই আমাদের দর্শন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলা কঠিন মামলা। এসব মামলা থেকে বের হওয়া কঠিন। কমিশনের মামলায় পড়লে অবশ্যই জেলে যেতে হবে। তিনি চান না সরকারি বা বিরোধী দল, সাধারণ-অসাধারণ কেউ দুর্নীতির মামলায় পড়ুক। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে বলেন, সব সরকারি অফিসে জনগণ যাতে প্রকৃত সেবা পায়, জনগণ যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। আর কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হলে রেহাই পাবে না বলে জানান তিনি। গত ২ মাসে দুই শ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের অধিকাংশই ঋণখেলাপি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কীভাবে তিনি এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তার হিসাব আমরা চেয়েছি। মিডিয়াতে তাঁর উত্থান সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।’ তার সূত্র ধরে আসলাম চৌধুরী হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন একা দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারবে না- তাই সবার সহযোগিতা চান কমিশনের চেয়ারম্যান।

সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, পুলিশ সুপার কে এম হাফিজ আকতার উপস্থিত ছিলেন।

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!