দুধের কৌটা কাটার ছুরি মেরে খুন করা হয় রনিকে, আদালতে দায় স্বীকার শহিদুলের

বড় ভাই শাহিন ও তার বন্ধু ইউসুফের সঙ্গে মারামারির জেরে আকবরশাহ থানার বিজয়নগর পাহাড়ের খুন হওয়া রনি প্রকাশ মাল্লু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন খুনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম।

রনিকে দুধের কৌটা (কনডেন্সড মিল্ক) কাটার ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জানান শহিদুল ইসলাম।

রনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমানে আকবরশাহ থানা এলাকার বিজয়নগর ও জিয়ানগর পাহাড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শহিদুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবউদ্দিন আহমদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বুধবার আকবরশাহ থানা এলাকায় খুন হওয়া রনির খুনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, শহিদুল ইসলামের হাতে খুন হওয়া রনি মঙ্গলবার শহীদের বড় ভাই শাহিন ও শাহিনের বন্ধু ইউসুফকে মেরেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। ওই ঘটনায় তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ না হয়ে বুধবার শহিদুল তার দোকানে রনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। রনি হত্যা মামলার একমাত্র আসামি শহিদুল ইসলামকে আমরা আদালতে সোপর্দ করলে তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। হত্যাকাণ্ডে কনডেন্সড মিল্কের কৌটা কাটার ছুরি দিয়ে রনিকে হত্যার কথা জানায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে শহিদুলকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে নিহত রনির সহযোগী ও আত্মীয়-স্বজনরা বৃহস্পতিবার দুপুরে শহিদুল ইসলামের ভাই শাহিন ও তার সহযোগীদেরকে এলাকায় গিয়ে মারার জন্য ঘেরাও করে। অবরুদ্ধ অবস্থায় শাহিন পুলিশের জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

মারপিট, হত্যা এবং হামলায় বিজয়নগর, জিয়ানগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা আছে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে স্বীকার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!