দুদক মামলায় ১৩ বছর পর সাবেক এমপি বদির বিচার শুরু

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখা ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদুকের দায়ের করা মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিচার শুরু হয়েছে।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে টেকনাফের বহুল আলোচিত সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৫ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নানা কারণে প্রায় দীর্ঘ ১৩ বছর আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার বিচার শুরু হয়নি। অবশেষে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে প্রথমে সাক্ষ্যগ্রহণ ও পরে যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে আশা করছি।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। ওই সময় বদি টেকনাফ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দুদক আইনে আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ২৬/১ ধারায় ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪৯ টাকা ৫৩ পয়সা সম্পদের তথ্য গোপন ও ২৭/১ ধারায় ৬৫ লাখ ৭০ হাজার ৪১৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, আবুল কালাম আজাদের করা মামলাটি দুদকের আরেক উপপরিচালক আলী আকবর ২০০৮ সালে তদন্ত করে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারক না থাকায় জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন এ আদালতে ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। আবদুর রহমান বদি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য। ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তুমুল সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। সেই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!