দুদকের ‘সততা স্টোরে’ চট্টগ্রামের আগে শুধু খুলনা, সারা দেশে ৪১৪৯ দোকান

নেই কোনো দোকানি, নেই নজরদারি ক্যামেরা। জিনিসপত্রের গায়ে লেখা রয়েছে দাম। সেই দাম অনুযায়ী খাতা-কলম বা অন্য কোনো শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে নির্ধারিত বাক্সে রাখতে হবে টাকা। এভাবে কোনো দরদাম ছাড়াই শিক্ষার্থীরা কেনাকাটা করতে পারে ‘সততা স্টোর’ থেকে।

ওই দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা সহজে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবে, তেমনি রাখতে পারবে সততার স্বাক্ষর। শিক্ষার্থীদের এভাবে সততা অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে ‘সততা স্টোর’ নামে ওই ব্যতিক্রমী দোকানের ধারণা চালু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সততা স্টোর গঠনের উদ্যোগ নেয় দুদক। ২০১৭ সালে ‘সততা স্টোর’ গঠন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন দেয় দুদক। এরপর শুধু ২০১৯ সালেই সারাদেশে ২ হাজার ১৭৭টি সততা স্টোর স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দুদক এ পর্যন্ত বসিয়েছে ৪ হাজার ১৪৯টি সততা স্টোর।

এসব স্টোরের মাঝে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২২টি। ৮২২টি সততা স্টোর নিয়ে এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। এছাড়া ঢাকায় ৫২৬টি, রাজশাহীতে ৪০১টি, , বরিশালে ২৬৭টি, সিলেটে ২২৩টি, রংপুরে ৫১২টি ও ময়মনসিংহে ১৭৬টি সততা স্টোর বসানো হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত এসব সততা স্টোরে শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি বিস্কুট, চিপস, চকলেট ইত্যাদি পাওয়া যায়। প্রতিটি পণ্যের মূল্যতালিকা দেওয়া থাকে। বিক্রেতাহীন দোকানে পণ্যমূল্য পরিশোধের জন্য ক্যাশবাক্স থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ক্যাশবাক্সে মূল্য পরিশোধ করে।

দুদকের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব স্টোর পরিচালনার ক্ষেত্রে অনৈতিকতার কোনো অভিযোগ আসেনি। কমিশনের উদ্যোগ ছাড়াও কোনো কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর স্থাপন করছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!