রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের তবলছড়ির টেস্কটাইল মার্কেট থেকে আটক করা হয়। দুদকের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক হাজী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
বুধবার দুপুরে আটক সুকমল চাকমাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে রাঙ্গামাটির কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী।
দুদক রাঙ্গামাটি সমন্বয় কার্যালয়ের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বলেন, রাজধানী ঢাকায় রাজউকে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কর্মরত থাকা অবস্থায় সুকমল চাকমা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভুয়া স্বাক্ষরে জাল-জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদন দিতেন।
এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি করেন তিনি। সেই অভিযোগে ১৯৪৭ সালের ৪২০/ ৪৬৭/ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ‘৫’এর (২) ধারায় দুদক, ঢাকা জোনের উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার ঢাকার বনানী থানায় মামলা (নম্বর-১৭, তারিখ: ১৮/১০/২০১৬) করেন। মামলাটি ফ্যাক্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটির দুদক কার্যালয়সহ কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়। মামলায় তার সঙ্গে মিজানুর রহমান নামে আরেক আসামি রয়েছেন। তাকেও মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের রাঙ্গামাটি কোর্ট পরিদর্শক এসআই আবদুল খালেদ বলেন, আইনে আসামির বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে তা জামিন অযোগ্য। তাই তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পু বলেন, মামলা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসামি গ্রেফতার আইনগতভাবে সমীচিন নয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু সুকমল চাকমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। এটা প্রমাণ করে যে, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
রিপোর্ট : চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::