দুদকের মামলায় জড়ালে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রেহাই নেই, গণশুনানিতে দুদক কমিশনার

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৭০ শতাংশ মামলায় অপরাধীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ বীরোত্তম শাহ আলম অডিটোরিয়ামে গণশুনানিতে এই দাবি করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

দুদকের মামলায় কেউ অভিযুক্ত হলে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি অভিযুক্তই থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। জীবিত থাকতে অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ড. মো. মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জিরো টলারেন্স টু করাপশন। এটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট। আমরা যদি এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি, তাহলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো টলারেন্সের নীতিতে সফল না হবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অবিরত ও শক্ত হাতে চলবে। আমরা কখনও পিছপা হব না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে বিচার করতে চাই তা প্রতিরোধমূলক। দুর্নীতিবাজরা আতংকে আছে, কখন মামলায় পড়তে হয়। দুদকে তামাদি বলে কোনো শব্দ নেই। একবার এ মামলায় জড়ালে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই।’

কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, ‘আমাদের কাজের ব্যাপ্তি বেড়েছে। কার্যালয় বেড়েছে। বিচার কাজও বেড়েছে। এখন সারাদেশে আমাদের ৩৯টি অফিস রয়েছে। লোকবলও প্রশিক্ষিত। দুদকের কর্মকর্তারা হাতে নেওয়া মামলাগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করছে; যার কারণে আদালত সে মামলাগুলোর ৭০ ভাগ আসামিকে শাস্তি দিচ্ছে।’

এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) একেএম সোহেল, সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীসহ অন্যরা।

গনশুনানীতে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনে তা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!