দুদকের মামলায় গ্রেপ্তারের ১৪দিন পর জামিনে মুক্ত চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার পরিতোষ

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :

সার্টিফিকেট জালিয়তির মাধ্যমে সরকারি চাকুরী নেয়ার অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেফতারের ১৪দিন পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন বহুল আলোচিত কক্সবাজারের চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার পরিতোষ কুমার দাস। গত বুধবার তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আগেরদিন তিনি হাইকোর্টের একটি আপীল বেঞ্চ থেকে জামিন লাভ করেন। pic-chakaria-06-10-16
গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা পেকুয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম। জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর সাব রেজিস্টার পরিতোষ এদিনই ঢাকা চলে যান। তবে আগামী সপ্তাহে তিনি পূর্বের কর্মস্থলে স্বপদে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর অধীনস্থ চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা রেজিষ্টার মো.আশরাফুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাব রেজিস্ট্রার পরিতোষ কুমার দাস আদালত থেকে জামিন পেয়ে বুধবার কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তিনি কবে নাগাদ কর্মস্থলে ফিরবেন বা স্বপদে বহাল থাকবেন সেই ব্যাপারে সিদ্বান্ত নেবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা আমার কাছে অফিসিয়ালি আসেনি।

 

দুুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন, পরিতোষ কুমার দাস ১৯৮৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী মুজিব নগরী কর্মচারী হিসেবে সাব রেজিস্টার পদে মনোনীত হন। তিনি এইচএসসি পাস হলেও চাকুরীতে আবেদন করার সময় দাখিল করেন এমএসসি পাসের সার্টিফিকেট।

 

ভুয়া তথ্য ও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকুরী করার অভিযোগে ২১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা পেকুয়া সাব রেজিস্টার কার্যালয় থেকে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম।

 

এজাহারে দেয়া তথ্য মতে, পরিতোষ কুমার দাস চাকরিতে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তখন থেকে ২০১৫ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ও ভাতাদি বাবদ ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

 

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেন বলেন, তার জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার। তবে এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষি অথবা নির্দোষ প্রমাণিত হলে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!