দুদকের জালে সিটি কর্পোরেশনের সেই দুই প্রকৌশলী

দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) দুজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এবং সুদীপ বসাক (অতিরিক্ত দায়িত্ব)। বুধবার (১০ এপ্রিল) চসিকের রাজস্ব বিভাগে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. লুৎফল কবির চন্দন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য জানান।

জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও সুদীপ বসাকের বিরুদ্ধে দুদকের দুজন তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দুদক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে অনিয়মের অভিযোগে আন্দরকিল্লা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে অভিযান চালায় দুদক। নগর ভবনের রাজস্ব বিভাগ ও নেজারত শাখায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফল কবির চন্দনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। এরপর রিয়াজ উদ্দিন বাজারের চসিকের রাজস্ব সার্কেল-৪ এ অভিযানে নামে দুদক।

দুদকের হটলাইন ১০৬ এ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায়, রাজস্ব ফাঁকি ও বই সংকট দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। অভিযানে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম। লাইসেন্সের আবেদনপত্র থেকে ব্যবসায়ীদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে কথা বলেও এসব অভিযোগ পায় দুদকের ওই টিম।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. লুৎফল কবির চন্দনের চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার দুদকের হটলাইনে ফোন করে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, লাইসেন্স ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে চসিক। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে আবেদন প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয় না। তিনগুণ টাকা না দিলে লাইসেন্স দেয় না।’

তিনি বলেন, চসিকে অভিযানে ট্রেড লাইসেন্স বইয়ের কোন সংকটে তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ট্রেড লাইসেন্সের বই দেখা গেছে পর্যাপ্ত। ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের কোন রেজিস্ট্রার নেই। ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে চসিক কত টাকা নিচ্ছে আর কত টাকা রাজস্ব দিচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। এর ফলে দুর্নীতি ও রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ রয়েছে। আমরা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযানের রিপোর্ট দেব। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!